দৃঢ় ফিলেট ওয়েল্ড তৈরির কৌশল

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | | NCTB BOOK

দৃঢ় ফিলেট ওয়েল্ড তৈরি করতে হলে নিম্নের বিষয়গুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে।
- প্রস্তুতি
- পেনিট্রেশন
- ছোট থিকনেস 
- আকৃতি ও কার্যকরী দৈর্ঘ্য
- আকার ও সাধারণ প্রয়োজনীয়তা

উল্লিখিত কৌশলাদির বর্ণনা নিম্নে প্রদত্ত হলো 

প্রস্তুতি : সাধারণত তেমন কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না তবে ওয়েল্ড এলাকা পরিষ্কার এবং পেটের স্পর্শক তলদ্বয় মসৃণ হতে হবে। পেটের পুরুত্বের ভিত্তিতে সিংগল কিংবা ডাবল বিভেল প্রস্তুত করতে হয়।

  • পেনিট্রেশনঃ যেহেতু সব জোড়েই পেনিট্রেশন অত্যাবশ্যক এবং ফিলেট ওয়েন্ডের বেলায় অবশ্যই ভালো পেনিট্রেশন অত্যাবশ্যক। সুতরাং এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  •  ছোট থিকনেসঃ এটি রুট হতে ফেসের কেন্দ্র পর্যন্ত দূরত্বের পরিমান। মিটার কিংবা স্বাভাবিক ফিলেটের ফেস পেট তলের সাথে ৪৫° ডিগ্রি কোণ অবস্থান করে (সমান লেগ লেংথ)। অন্যান্য ধরনের ওয়েল্ড উত্তল কিংবা অবতল।
  • সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য হতে ওয়েল্ড আকৃতির দুই গুণ বাদ দিলে কার্যকরী দৈর্ঘ্য পাওয়া যায়। দৃঢ় ওয়েল্ডিং পেতে - হলে পরিমাণ অনুসারে ওয়েল্ড হলো কীনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

উদাহরণঃ একটি ওয়েল্ড ৪০০ মিমি লম্বা এবং ১২ মিমি ফিলেট। তাহলে, কার্যকরী লেংথ ৪০০ - (১২ x ২) = ৩৭৬ মিমি হবে। ওয়েন্ডের শুরুতে এবং ক্রেটারের প্রান্তে পেনিট্রেশন হওয়ার দরুন এ অ্যালাউন্স দেওয়া হয়।

  • আকার ও সাধারণ প্রয়োজনীয়তাঃ ওয়েন্ডের কার্যকরী এলাকা বর্গ মিমি এ = থ্রোট থিকনেস x কার্যকরী দৈর্ঘ্য। 

উদাহরণ : একটা জোড়ের প্লেট থিকনেস ৪ মিমি এবং কার্যকরী দৈর্ঘ্য ২০ মিমি। অতএব, এর কার্যকরী এলাকা = ৪x২০ =৮০ বর্গ মিমি।

Content added By
Promotion